আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অভিবাসন আইন, অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা ও দেশটিতে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন বিষয়ে সমঅধিকারের দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছে পর্তুগালের অভিবাসীদের সংগঠনগুলো। রোববার (১১ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় লিসবন এবং বন্দর নগরী পোর্তোতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ডাকে সাড়া দিয়ে পর্তুগালে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
অভিবাসীদের উল্লেখযোগ্য মৌলিক দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিদেশি ও সীমান্ত পরিষেবা (এসইএফ) কার্যক্রমের উন্নতি, যাদের চাকরি ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের চাকরি নিশ্চিত করা, রেসিডেন্স কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন এমন নতুন অভিবাসীদের এসইএফ-তে সাক্ষাৎকারের তারিখ ধারাবাহিকভাবে ইমেইলে সংযুক্ত করা, ইমেইল পাওয়ার সময়সীমা কমিয়ে আনা, ইমেইল পাওয়ার তারিখ থেকে ৫ বছরের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়ার সময় নির্ধারণ করা এবং সর্বেশেষ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষে সকল অভিবাসীকে এসএনএস নম্বর দেয়া।
আন্দোলনে অংশ নেয়া ব্রাজিলিয়ান নাগরিক এন্ডারসন পাউলিনা বলেন, আমি বিবাহিত এবং আমার দুটি সন্তানও রয়েছে। পর্তুগালে আমি সর্বনিম্ন বেতনে একটি গুদামে কাজ করি। ব্রাজিলে থাকাকালীন অবস্থায় আমি একজন ভারি ট্রাকচালক ছিলাম। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, আমার ভারি ড্রাইভিং লাইসেন্স হওয়ার পরেও শুধুমাত্র রেসিডেন্স কার্ডের অভাবে পর্তুগালের রাস্তায় ভারি গাড়ি চালানোর অনুমোদন পাচ্ছি না।
বাংলাদেশি প্রবাসী মোহাম্মদ শাহাজান বলেন, আমরা বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে বিদেশি অভিবাসী এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সাথে একাত্মতা পোষণ করেছি। কারণ আমরা জানি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পাব। আশা করি আজকের এ আন্দোলন পর্তুগালের গণমাধ্যমগুলোতে জোরালোভাবে প্রকাশ পাবে, ফলে আমরা ফিরে পাবো আমাদের ন্যায্য অধিকার।